ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আ’লীগ সরকার আর্থিক খাত ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে -অর্থ উপদেষ্টা বিএমইউর চিকিৎসকসহ আরও ১৯ জন বরখাস্ত আমতলীতে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভে কর্মচারীরা ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড ৬ জনের যাবজ্জীবন বহাল কালো টাকা সাদা করার বিধান সংস্কারের সম্পূর্ণ বিপরীত-টিআইবি দূরত্ব ঘুচিয়ে চমৎকার জুলাই সনদ তৈরির প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার সারাদেশে একযোগে ২৫২ বিচারককে বদলি টেকসই অর্থনীতির বাজেট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বঞ্চনার গল্প যেন অরণ্যেরোদন চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলে ৩ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা রাষ্ট্র সংস্কারে উপেক্ষিত নারী তারেক রহমানসহ সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু-আইন উপদেষ্টা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রথমবারের মতো বিটিভির স্টুডিও থেকে হচ্ছে বাজেট ঘোষণা ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য নিয়ে নতুন বাজেট আজ দুধ শুধু পণ্য নয় এটি সংস্কৃতির অংশÑ মৎস্য উপদেষ্টা রাঙামাটিতে টানা বৃষ্টি পাহাড় ধসের ঝুঁকি সিলেটে টিলা ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দিনে কমলেও রাতের দালাল বেপরোয়া

  • আপলোড সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:৪২:৪০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০১-১২-২০২৪ ১১:৪২:৪০ অপরাহ্ন
হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দিনে কমলেও রাতের দালাল বেপরোয়া
শরিয়তপুর থেকে নুরুজ্জামান শেখ
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হাবিবুর রহমানসহ অন্য ডাক্তারদের তদারকিতে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের দিনের দালাল কিছুটা কমাতে পারলেও দিন দিন রাতের দালাল বেপরোয়া হয়ে উঠছে। কোন মতেই থামানো যাচ্ছে না  রাতে জরুরি বিভাগে থাকা ডাক্তারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচরী দালালদের। সরেজমিন ঘুরে গভীর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কিছু কিছু অভিজ্ঞ দালাল রয়েছে যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দালালি করে আসছে।
এই অভিজ্ঞ দালালদের সাথে জড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের কিছু ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারী। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কয়েকজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন যারা নামে বেনামে শরীয়তপুর ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক হওয়া স্বত্বে আওয়ামী লীগ আমলের  এই ১৫ বছর একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এইসব কর্মচারীরা তাদের তৈরি করা কমিশন দেয়া দালালদের সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে সহযোগীহিসাবে থাকার সহযোগিতা করেছেন। দিনে এবং রাতে সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে মধ্যবিত্ত গরিব অসহায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের দেয়া হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সক্রিয় দালালদের মাধ্যমে রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে নেয়া হয় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার অর্ধেক টাকাই চলে যায় দালাল ও কিছু ডাক্তারদের পকেটে। গভীর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সম্পূর্ণ দালাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং দালালদের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল শরীয়তপুর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাগরিকা ডায়াগনস্টিক, মর্ডান মেডিকেল  ডায়াগনস্টিক, কেয়ার ৯৮  ডায়াগনস্টিক, পালং মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এইসব ডায়াগনস্টিকের দালালদের কাছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী এক নারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালে ভর্তি কৃত রোগীদের বাহির থেকে  পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেশিরভাগই ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতাল ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ শতভাগ দালালমুক্ত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দালালদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতাল জরুরি  বিভাগে সব সময়  একজন ব্রাদার ও একজন ওয়ার্ড  বয় থাকে। এখন থেকে ওয়ার্ড বয় জরুরি বিভাগে ডাক্তারদের সাথে সহযোগী হিসেবে থাকবে। বাহিরের কোন বহিরাগত লোক বা দালাল থাকতে পারবে না।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য